1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় হেজবোল্লাহ’র আক্রমণ

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল বলছে, হেজবোল্লাহ’র যোদ্ধারা শনিবার লেবানন থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এসে কুসাইর এলাকার তিনটি গ্রাম আক্রমণ করে৷

https://p.dw.com/p/17fn0
ছবি: Bulent Kilic/AFP/Getty Images

উত্তর সিরিয়ায় রবিবারেও তথাকথিত ‘‘ব্যাটল অফ দ্য এয়ারপোর্টস'' অব্যাহত থেকেছে৷ বিদ্রোহীরা আলেপ্পো বিমানবন্দর, তার সঙ্গে সংযুক্ত নায়রাব সামরিক বিমানঘাঁটি এবং আলেপ্পো শহরের পূর্বে কুইরেস বিমানঘাঁটির উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷

অপরদিকে রাজধানী দামেস্কের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার চালু হলেও, দামেস্কের শহরতলিতে আসাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে বলে প্রকাশ৷ এই যুদ্ধে ছ'জন বিদ্রোহীর নিহত হবার খবরও দিয়েছে অবজারভেটরি৷

অপরদিকে হেজবোল্লাহ যে লেবানন সীমান্তের কাছে শিয়া-সুন্নি উত্তেজনা বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা করছে, এসএনসি'র এ' অভিযোগের গুরুত্ব আছে৷ এসএনসি বলছে, হেজবোল্লাহ'র যোদ্ধারা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুসাইর এলাকার তিনটি গ্রাম আক্রমণ করে৷ কিছু বেসামরিক গ্রামবাসীর নিহত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ শত শত গ্রামবাসী বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে৷ হেজবোল্লাহ নাকি সিরিয়ার সরকারি সেনাবাহিনীর তাঁবে সক্রিয়, বলে এসএনসি'র অভিযোগ৷

Hisbollah Parade in Libanon Archivbild 28.11.2012
গত নভেম্বরে লেবাননে হেজবোল্লাহ’র প্যারেডছবি: Mahmoud Zayyat/AFP/Getty Images

এটা ‘‘সিরীয়-লেবাননী সম্পর্ক এবং স্থানীয় শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি গুরুতর হুমকি'', বলে এসএনসি'র বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে৷ বৈরুত সরকারের এই ‘‘আগ্রাসন'' বন্ধ করার দায়িত্ব আছে, বলে এসএনসি ঘোষণা করে৷ মুশকিল এই যে, লেবানন স্বয়ং সিরিয়ায় বিদ্রোহের ব্যাপারে গভীরভাবে বিভক্ত৷ হেজবোল্লাহ এবং সিরিয়ার শাসক গোষ্ঠী ও তাদের সমর্থকরা শিয়াপন্থি - কিংবা আলাউইট - কিন্তু সিরিয়ার জনগণের একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এবং বিদ্রোহীরা সুন্নি৷

ওদিকে জাতিসংঘ ও আরব লিগের সিরিয়া সংক্রান্ত মধ্যস্থ লাখদার ব্রাহিমি বিরোধী নেতা মোয়াজ আল-খাতিব'এর প্রস্তাবের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনের ডাক দিয়েছেন৷ ন্যাশনাল কোয়েলিশনের প্রধান আল-খাতিব সম্প্রতি প্রস্তাব দেন যে, যে সব সরকারি কর্মকর্তাদের ‘‘হাতে রক্ত লেগে নেই'', তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে৷ কিন্তু কোয়েলিশনের অপরাপর নেতারা আসাদের পদত্যাগের আগে কোনোধরণের আলাপ-আলোচনায় সম্মত নন৷ আল-খাতিবের প্রস্তাব নিয়ে আগামী বুধবার কায়রোয় আরো আলাপ-আলোচনা হবে৷ আল-খাতিব নিজে বলেছেন, তাঁর প্রস্তাব ‘‘আত্মসমর্পণ'' নয়৷ তাঁর লক্ষ্য হল সিরিয়ার জনগণের দুঃখ-দুর্দ্দশার উপশম ঘটানো৷

এসি / জেডএইচ (ডিপিএ, এপি, এএফপি)